চলুন এই ছোট্ট একটা লাইনের স্ট্যাটাসের পেছনে লুকিয়ে থাকা মলিন হাসির কাহিনী আলোচনা করা যাক...
ছোটবেলা থেকে আশুগঞ্জের হাউজিং এ যারা বড় হয়েছে তারা ভোরের বেলা টিয়া পাখির ডাক শুনেছে,চড়ুইপাখির কিচিরমিচির ডাক শুনেছে,ছাদে উঠে ডাব গাছের সবুজ পাতায় বসে থাকা টিয়া পাখি দেখেছে ঝাকে ঝাকে,দূরে তাকিয়ে মেঘনা নদীর ঢেউ দেখেছে..সকাল বেলা নাস্তা করে কেউ একবার হলেও বাজারে গিয়ে একটা চক্কোর মেরেছে,সচেতন অথবা অবচেতন মনে বৈশাখী হোটেলের দিকে অবশ্যই তাকিয়েছে..কেউ গ্যালারীতে বসে নিজের ব্যাচ ম্যাট দের সাথে আড্ডা দিয়েছে আবার কোন লীগের আয়োজন হলে সীটে বসে জালির পেছনে দাঁড়িয়ে খেলা উপভোগ করেছে,দুপুরে শালিক পাখির ডাক শুনতে শুনতে আর গুনতে গুনতে ঘুমিয়েছে,বিকালে আযান দেয়ার সাথে সাথে বাইরে হাটতে বের হয়েছে,মাঝে মাঝে ময়াজ্জেম হুজুরের প্রক্সি হিসেবে আবুল হোসেন আযান দিতো...ও হ্যা আবুল হোসেন এর বারমিস আচার,কটকটি আর মধুবন চানাচুর বিক্রির দিনগুলো চোখ বন্ধ করলে ভেসে উঠে...যাজ্ঞে অনেকে মাঠে খেলাধুলা করেছে,আড্ডা দিয়েছে,সন্ধ্যে ঘনালেই গ্যালারীতে বসার জন্য আনসারের সাথে তর্ক করেছে(আর ৫ মিনিট একটু জিরাই ভাই) যদিও বাসার সোফায় বসা এর চেয়ে অনেক আরামদায়ক তবুও সিমেন্টের ঐ গ্যালারীর সাথে সবার ই এক অদ্ভুত রহস্যময় ভালোবাসা..সন্ধ্যের পর বাজারে এখানে সেখানে ছন্নছাড়া আড্ডা,কেউ রাস্তায় হেটে হেটে কথা বলেছে,কেউ শেষ রাস্তায় গোল করে বসে জেমস হাসান বাচ্চুর গানে গুন গুন করেছে,আবার কেউ ওয়াইড বলে সিক্স মেরেছে(রূপক ছিলো) যাই হোক..
রাত হয়ে যাওয়ার পর আবার পরিবেশ থমথমে, ৯.৫০ এ বাবা চাচাদের নাইট ডিউটিতে যাওয়ার জন্য গাড়ীর আওয়াজ শুনেছে,মাইক্রোর হর্ন শুনেছে,আরো গভীর রাতে পেচার ডাক শুনেছে ইত্যাদি ইত্যাদি...